রাসুল সাঃ এর জীবনী


আমাদের এই ব্লগ টি রাসুল সাঃ এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হবে যদি কোন ভুল ক্রটি থাকে ধরিয়ে দিবেন। 
      রাসুল সাঃ এর জীবনী


   রাসুল সাঃ এর বংশ পরিচয়


 রাসুল সাঃ এর  বংশ তালিকা নিম্নরুপ

































































































আমিনা, মাতা





হারিস, চাচা

হামজা, চাচা































তুয়াইবাহ,প্রথম ধাত্রী


হালিমা,দ্বিতীয় ধাত্রী




আব্বাস, চাচা

























খাদিজা, প্রথম স্ত্রী


ইবনে আব্বাস, চাচাতো ভাই





























ফাতিমা, একমাত্র সন্তান যার সন্তানাদি শেষপর্যন্ত জীবিত ছিল

আলী, চাচাতো ভাই





কাশিম (৬০৫), খাদিজার প্রথম পুত্র

আবদুল্লাহ (৬১৫), খাদিজার দ্বিতীয় পুত্র





























উসমান (৬৫৬), ভাগ্নে


যায়েদ (৬২৭), পালক পুত্র













































আলী (৬৩০), grandson

উমারাহ (৬৮৫), নাতনী যিনি আলীকেবিয়ে করেছিলেন




























































মুহসিন (?), disputed





























































?


আবু বকর (পরিবার, ৬৩৪), শ্বশুর




?


?


?







































































































?


?


?


?


?


































































































সুত্রঃ উইকিপিডিয়া
তিনি মক্কার কুরায়েশ বংশের শ্রেষ্ঠ শাখা হাশেমী গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, মাতার নাম আমেনা, দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব, দাদীর নাম ফাতেমা। নানার নাম ওয়াহাব, নানীর নাম বাররাহ। নানার বংশসূত্র রাসূলের উর্ধ্বতন দাদা কিলাব -এর সাথে এবং নানীর বংশসূত্র কুছাই -এর সাথে যুক্ত হয়েছে। নানা অয়াহাব বনু যোহরা গোত্রের সরদার ছিলেন। দাদার হাশেমী গোত্র ও নানার যোহরা গোত্র কুরায়েশ বংশের দুই বৃহ্ৎ ও সম্ভ্রান্ত গোত্র হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল।
                            বংশধারা
তাঁর বংশধারাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। ১ম ভাগে মুহাম্মাদ (ছাঃ) হ’তে উর্ধ্বতন পুরুষ আদনান পর্যন্ত ২২টি স্তর। যে ব্যপারে কারু কোন মতভেদ নেই। এর উপরে ২য় ভাগে আদনান থেকে ইবরাহীম (আঃ) পর্যন্ত ৪১টি স্তর এবং তাঁর উপরে তৃতীয় ভাগে ইবরাহীম (আঃ) হ’তে আদম (আঃ) পর্যন্ত ১৯টি স্তর। যেখানে নাম ও স্তরের ব্যপারে বিদ্বানগণের মতভেদ রয়েছে। আমরা নিম্নে আদনান পর্যন্ত বংশধারা উল্লেখ করলাম-
(১) মুহাম্মাদ বিন (২) আব্দুল্লাহ বিন (৩) আব্দুল মুত্তালিব বিন (৪) হাশেম বিন (৫) আবদে মানাফ বিন (৬) কুছাই বিন (৭) কিলাব বিন (৮) মুররাহ বিন (৯) কা’ব বিন (১০) লুওয়াই বিন (১১) গালিব বিন (১২) ফিহর (লকব কুরায়েশ) বিন (১৩) মালেক বিন (১৪) নাযার বিন (১৫) কানানাহ বিন (১৬) খুযায়মা বিন (১৭) মুদরেকাহ বিন (১৮) ইলিয়াস বিন (১৯) মুযার বিন (২০) নাযার বিন (২১) মা’দ বিন (২২) আদনান। এর মধ্যে পরদাদা হাশেম -এর নামে হাশেমী গোত্র এবং দ্বাদশতম পুরুষ ফিহর যার উপাধি ছিল কুরায়েশ, তাঁর নামানুসারে কুরায়েশ বংশ প্রসিদ্ধি লাভ করে। কুরায়েশ অর্থ সাগরের তিমি মাছ। ইয়ামনের বাদশাহ হাসসান মক্কা আক্রমণ করে কা’বা উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যেতে ছেয়েছিল। ফিহর তাকে যুদ্ধে হারিয়ে তিন বছর বন্দি করে রাখেন। অতঃপর তাকে মুক্তি দেন। হাসসান ইয়ামনে ফেরার পথে রাস্তায় মারা যায়। এই ঘটনার পর থেকে ফিহর ” আরবের কুরায়েশ” বলে খ্যাতি লাভ করেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় বংশ সম্পর্কে বলেন,
আল্লাহ ইবরাহীমের সন্তানগণের মধ্য থেকে ইসমাঈলকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপর ইসমাঈলের সন্তানগণের মধ্য থেকে বনু কানানাহকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপর বনু কানানাহ থেকে কুরায়েশ বংশকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপপ্র কুরায়েশ থেকে বনু হাশেমকে এবং বনু হাশেম থেকে আমাকে বেছে নিয়েছেন” [২]।
শুধু তাই নয়, তিনি বলতেন, আমি আমার পিতা ইবরাহীমের দো’আ ও ঈসার সুসংবাদ (এর ফসল)” [৩]। কেননা ইবরাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহ নির্মাণের সময় দো’আ করেছিলেন, যা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্তভাষায়-
 হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি তাদের মধ্য হ’তে একজনকে তাদের মধ্যে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করুন, যিনি তাদের নিকটে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত (সুন্নাহ) শিক্ষা দিবেন ও তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন” (বাক্বারাহ ২/১২৯)।
পিতা-পুত্রের এই মিলিত দো’আ দুই হাযারের অধিক বছর পরে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) -এর আগমনের মাধ্যমে বাস্তবে রুপ লাভ করে

একইভাবে ঈসা (আঃ) স্বীয় কওমকে উদ্দেশ্য করে শেষনবী আগমনের সুসংবাদ দিয়ে বলেছিলেন, যেমন আল্লাহ বলেন,
স্মরণ কর, যখন মরিয়ম তনয় ঈসা বলেছিলেন, হে বনু ইস্রাঈলগণ! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যনকারী এবং আমি এমন একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন, তার নাম আহমাদ
” (ছফ ৬১/৬)
পিতা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্ত্বালিব ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে পিতার হুকুমে ইয়াছরিব (মদীনা) গেলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাত্র ২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ও সেখানে নাবেগা জাদীর গোত্রে সমাধিস্থ হন। এভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) -এর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়ে যায়।
আগের পর্বঃ
রাসুল (সাঃ) এর পুর্নাংগ জীবনী জানতে আমাদের এই অ্যাপ্টি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।https://play.google.com/store/apps/details?id=com.duappsmedia.mohanobi





Comments

Popular posts from this blog

রাসুল সাঃ এর জীবনী

রাসুল সাঃ এর জীবনী