রাসুল সাঃ এর জীবনী
আমাদের এই ব্লগ টি রাসুল সাঃ এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হবে যদি কোন ভুল ক্রটি থাকে ধরিয়ে দিবেন। রাসুল সাঃ এর জীবনী
রাসুল সাঃ এর
আগমনের প্রেক্ষাপট
মানুষ আশরাফুল মাখলূকাত বা
সৃষ্টির সেরা জীব। ফেরেশ্তাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে তিনি মানুষকে খলীফা হিসেবে
সৃষ্টি করেছেন।যাতে মানবজাতি তাঁর প্রশংসা, গুণগান, নি‘আমতরাজির
কৃতজ্ঞতা ও ইবাদত-বন্দেগীতে রত থেকে জীবন অতিবাহিত করে। আর এ সকল কার্যাবলী কোন
পন্থায় ও কি পদ্ধতিতে পালন করবে সে মর্মে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে
যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ হয়েছে। মানব জাতির আদি পূরুষ আদম আলাইহিস সালাম-কে সৃষ্টির
মাধ্যমেই এ পৃথিবীতে মানুষের পদচারণা শুরু হয়। তিনি শুধুমাত্র একজন মানবই ছিলেন না
বরং তাঁকে নবী হিসেবে এ দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে।
আর সর্বশেষ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে
পাঠানোর মধ্যে দিয়ে নবী রাসুল প্রেরণ বন্ধ করেছেন। শেষ নবী সাঃ কে প্রেরন করার
কতিপয় উদ্দেশ্য ছিল।
যথাঃ
ভৌগিলিক কারণ:
মক্কা নগরী পৃথিবীর মধ্যে ভাগে
হওয়ায় এখান থেকে অন্যান্য জায়গায় সহজে গমন করা যায়।যা পৃথিবীর অন্য কোন জায়গা থেকে সম্ভব নয়।এটি একটি অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা হয় রাসুল সাঃ
কে প্রেরনের।
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করা:
রাসুল (সাঃ) যখন পৃথীবিতে
আগমন করেন ,তখন সমগ্র পৃথীবি ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত ,আল্লাহর নির্দেশে এ অন্ধকার
থেকে আলোর পথে মানুষকে আনয়ন করার জন্য রাসুল (সাঃ) কে প্রেরণ করা হয়।
আরব জাতি:
আরব জাতি ব্যাতিত প্রত্যেক
জাতির নিকট মানুষের রচিত ধর্ম ছিল যা তারা পালন করত।শুধুমাত্র আরব জাতিদের কোন
ধর্মগ্রন্ত ছিল না।তাই আল্লাহ তায়াল রাসুল সাঃ কে মক্কায় প্রেরণ করা হয়।
বিশ্ব মানবতার মুক্তি:
সমগ্র মানুষের মধ্যে রাসুল
(সাঃ) ছিলেন শ্রেষ্ট মানুষ। মহান আল্লাহ পাক এই শ্রেষ্ট মানুষের দ্বারা পৃথীবির
মুক্তি দিবেন এমন ভাবে রাসুল (সাঃ) কে প্রেরণ করা হয়েছে।
মূলত রাসুল (সাঃ) কে
যখন পৃথীবিতে প্রেরণ করা হয় তখন সমগ্র পৃথীবিতে একজন মানব দিশারী খুব দরকার ছিল
কেননা তখন কোথায় শান্তি অবশিষ্ট ছিল না।
রাসুল সাঃ এর জন্ম:
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে (হস্তিবর্ষ)
মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহন
করেন। মাতৃগর্বে থাকাকালীন পিতা
হারা হন শিশু বয়সে মাতাকে হারিয়ে এতিম হন এবং প্রথমে তাঁর পিতামহ আবদুল
মোত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের দিন ও মাস নির্দিষ্ট করা নিয়ে
সিরাতপ্রণেতা ও ঐতিহাসিকগণ মতানৈক্য করেছেন। এ মতানৈক্যেরযৌক্তিক কারণও
রয়েছে।যেহেতু কারো জানা ছিল না যে, এ নবজাতক ভবিষ্যতে বড়
কিছু হবে? অন্য নবজাতকের জন্মকে যেভাবে নেয়া হত তার জন্মকেও
সেভাবে নেয়া হয়েছে। এ জন্য কারো পক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখ নির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
সূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম সম্পর্কিত যে তথ্যগুলোর ব্যাপারে সকলে একমত
সেটা হচ্ছে- জন্মের সাল ও দিন।
জন্মেরসাল:
তার জন্মের বছর ছিল “আমুল ফিল” তথা হস্তি বাহিনীর বছর। ইমাম ইবনুল কাইয়ূম
(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “এতে কোন সন্দেহ নেই যে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার অভ্যন্তরে হস্তি বাহিনীর বছর জন্ম গ্রহণ
করেন।
আবু
কাতাদা আনসারি (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে সোমবারেরোজা রাখার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন: এ
দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছে অথবা এ দিনে
আমার উপর (অহি) নাযিল হয়েছে।” [সহিহ মুসলিম ]
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের ব্যাপারে মতবিরোধ হচ্ছে মাস ও তারিখনিয়ে।
এ বিষয়ে আমরা আলেমদের বহু অভিমত জানতে পেরেছি, যেমন:
১. কেউ
কেউ বলেছেন: ২ রা রবিউল আউয়াল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম
গ্রহণ করেন।
ইবনে
কাছির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “কেউ কেউ বলেছেন ২ রা রবিউল আউয়াল। ইবনে আব্দুল বারর
“ইস্তেআব” গ্রন্থে এ অভিমত উল্লেখ করেন এবংওয়াকেদি এ বর্ণনাটি আবু মাশার নাজিহ
ইবনে আব্দুর রহমান আল-মাদানি থেকেও উদ্ধৃত করেন”।[আস-সিরাতুন নববিয়াহ”(১/১৯৯)]
২. কেউ
কেউ বলেন: ৮ ই রবিউল আউয়াল।
ইবনে
কাছির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “কেউ বলেছেন: ৮ ই রবিউল আউয়াল। হুমাইদি এ বর্ণনাটি
ইবনে হাজম থেকে বর্ণনা করেন। আর মালেক, উকাইল ও ইউনুস ইবনে
ইয়াযিদ প্রমুখ এটি বর্ণনা করেন জুহরি থেকে, তিনি মুহাম্মদ
ইবনে জুবাইর ইবনে মুতয়িম থেকে। ইবনে আব্দুল বারর বলেন, ঐতিহাসিকরা
এ মতটিকেসঠিক বলেছেন। হাফেজ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারজেমি এ তারিখের ব্যাপারে
সম্পূর্ণ নিশ্চিত। হাফেজ আবুল খেতাব ইবনে দিহইয়াহ ‘আত-তানবির ফি মাওলিদিল বাশিরিন
নাজির’ গ্রন্থে এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন”।[আস-সিরাতুন নববিয়াহ(১/১৯৯)]
৩. কেউ
কেউ বলেছেন: ১০ রবিউল আউয়াল।
ইবনেকাছির
(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “কেউ বলেন: ১০ রবিউল আউয়াল। এ মতটি ইবনে দিহইয়াহ তার
গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবংইবনে আসাকের এ মতটি আবু জাফর আল-বাকের থেকে এবং মুজালিদ
নামক রাবী শা‘বি থেকে বর্ণনা করেন”।[আস-সিরাতুন নববিয়াহ (১/১৯৯)]
আগের পর্বঃ
রাসুল (সাঃ) এর পুর্নাংগ জীবনী জানতে আমাদের এই অ্যাপ্টি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.duappsmedia.mohanobi
Comments
Post a Comment