রাসুল সাঃ এর জীবনী

আমাদের এই ব্লগ টি রাসুল সাঃ এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হবে যদি কোন ভুল ক্রটি থাকে ধরিয়ে দিবেন। রাসুল সাঃ এর জীবনী
 জাহেলিয়াত যুগের বিবারণ:
আইয়ামে জাহেলিয়া কি ?
আইয়ামে জাহেলিয়া দুটি শব্দের সমন্বয়ে  গঠিত।যার একটি হল,”আইয়াম” এর অর্থঃ দিন ,যা রাতের বিপরীত কে বুঝায় এটি একবচন ‘ইওম’ এর বহুবচন।
আবার “জাহেলিয়া” শব্দটি ‘জাহলুন’ থেকে এসেছে এর অর্থঃ অন্ধকার,তমসা।ব্যাপক অর্থে বর্বরতা বা অজ্ঞতা কে বুঝায়।
আইয়ামে জাহেলিয়া এর সময়কাল
আইয়ামে জাহেলিয়া এর সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ রয়েছে ।যেমনঃ
১।কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে, হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (স) এর নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্ব যুগকে আইয়ামে জাহেলিয়াত বলা হয়। কিন্তু এই মতামত গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা তাদের মাঝখানে বহু নবী রাসূলের আগমন ঘটেছে
২।ড. নিকলসন বলেন- ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ববর্তী এক শতাব্দি কালকে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ বলে গণ করেছেন।
৩।কারো কারো মতে, হযরত ঈসা (আ) এর উর্ধ্ব গমনের পর থেকে ইসলামের আবির্ভাবের পুর্ব পর্যন্ত সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়া বলা হয়। তবে এ মতও গ্রহণযোগ্য নয়।
৪।অধ্যাপক পি.কে হিট্টি বলেন- সাধারণভাবে আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে অজ্ঞতার যুগ বা বর্বরতার যুগ বুঝায়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এ পদবাচ্য দ্বারা সে যুগকেই বুজায় যে যুগে আরবে কোন নিয়ম কানুন ছিল না, কোন নবীর আবির্ভাব ঘটে নি এবং কোন আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয় নি। 
৫।  ঐতিহাসিক মুইর বলেন, হযরত ঈসা (আ) হযরত মুহাম্মদ (স) এর মধ্যকার সময়কেই আইয়ামে জাহেলিয়া বলা হয়।
৬।  ড. এস এম ইমামউদ্দীনের মতে, হযরত মুহাম্মদ (স) এর জন্মের পুর্বে ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এক শতাব্দিকাল সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়া বলে।
৭। কুরআনে মাজীদে ইসলামের আভর্বাভের পুর্ববর্তী সময়কে জাহেলিয়া যুগ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
দলিলঃ কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-হে নারী সম্প্রদায় ! তোমরা জাহেলিয়া যুগের ন্যায় ইসলাম আগমনের পরে বাহিরে বের হয়োনা।
৮।হাদীসের ভাষায় মহানবী সাঃ এর অহী প্রপ্তির পুর্ববর্তী সময় কে জাহেলিয়া সময় হিসেবে গনণা করা হয়।
আইয়ামে জাহেলিয়া পৃথিবীর অবস্থা
জাহেলিয়া যুগে সমগ্র পৃথিবী অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ।পৃথিবীর সর্বত্র মানব সমাজ পথভ্রষ্ট ছিল।কন জাতিই আল্লাহর এক্ত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল না।তারা নবী রাসুল এর পথ ভুলে গিয়েছিলেন। রোম ,পারাস্য ,গ্রিস,মিসর ও ভারতবর্ষে চন্দ্র সুর্য বিভিন্ন তারকা রাজির পুজা করত ।পারাস্যবাসীরা ছিল অগ্নি উপাসক তারা ইয়াযদান ও আহের মান নামক দুজন দেবতায় বিশ্বাসী ছিল।
ইহুদি জাতি ছিল পথভ্রষ্ট ,তারা মুসা আঃ এর বানী ভুলে গিয়ে ওযায়ের আঃ কে আল্লাহর পুত্র মনে করত এবং আল্লাহর কিতাবের বিকৃত করে। অন্যদিকে খ্রিষ্টানগনও আল্লাহর একত্ববাদ কে ভুলে গিয়েছিল ,তারা ইসা আঃ কে আল্লাহর পুত্র হিসেবে মনে করত।বৈরাগ্যবাদ ছিল তাদের ধর্মের মাপ কাঠি। সমাজে দাসপ্রথার মত জগন্য প্রথা বিদ্যমান ছিল। মোট কথা পৃথিবির সর্বত্র অরাজকাত বিরাজমান ছিল।
আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে আরবদের প্রশংসনীয় দিক
জাহেলিয়া যুগে আরবদের নানাবিদ সমস্যা থাকা সত্তেও কিছু প্রশংসনীয় দিক ছিল যেমনঃ
*জাহেলিয়া যুগে আরবগন ছিল কষ্টসহিষ্ণু ,নির্ভীক ও চির সংগ্রামী।মরুভুমি ছিল বসবাসের উপযোগি তারপর তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে তাদের খাদ্য যোগান দিত।
*জাহেলিয়া আরবগন ব্যবসা বানিজ্য পৃথিবী ময় ছড়িয়ে পড়ে।যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।
*জাহেলিয়ায় আরবগনের অন্যতম প্রশংসনীয় দিক ছিল যে তারা অতিথী শ্ত্রুকেও আশ্রয় দিত।
*কাব্যপ্রিতি তাদের অন্যতম গুন ।এটাকে বেদুইনের সাংস্কৃতিক সম্পদ বলা হত। তাদের কবিতাগুলোকে কাসিদা নামে খ্যাত ছিল।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রশংসণীয় দিক ছিল যা এখনো আমাদের সমাজে তার প্রভাব রয়েছে।
 রাসুল (সাঃ) এর পুর্নাংগ জীবনী জানতে আমাদের এই অ্যাপ্টি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.duappsmedia.mohanobi

Comments

Popular posts from this blog

রাসুল সাঃ এর জীবনী