রাসুল সাঃ এর জীবনী
আমাদের এই ব্লগ টি রাসুল সাঃ এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হবে যদি কোন ভুল ক্রটি থাকে ধরিয়ে দিবেন।
রাসুল সাঃ এর জীবনী
রাসুল সাঃ এর কৈশোর কাল
চাচা আবু তালিবের তত্বাবধায়নেঃ
দাদার মৃত্যুর পর তাঁর চাচা হযরত আবু তালিব (রাঃ) হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ) এর অভিভাবকত্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। হযরত আবু তালিব ছিলেন
মহানবী (সাঃ) এর পিতা হযরত আব্দুল্লাহর সহোদর। আবদুল্লাহ ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের
সর্বকনিষ্ঠ ছেলে। আব্দুল্লাহ, যুবায়র ও আবু তালিব এই তিনজন ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের স্ত্রী
ফাতিমা বিনতে আমর এর গর্ভজাত সন্তান। হযরত হামযা (রাঃ), হযরত
আব্বাস (রাঃ) অন্য স্ত্রীর সন্তান।
সিরিয়া গমনঃ
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন তখন তার
দাদাও মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার পুত্র আবু তালিবকে মুহাম্মাদএর
দায়িত্ব দিয়ে যান। আবু তালিব ব্যবসায়ী
ছিলেন এবং আরবদের নিয়ম অনুযায়ী বছরে একবার সিরিয়া সফরে যেতেন। মুহাম্মাদএর বয়স
যখন ১২ বৎসর তখন তিনি চাচার সাথে সিরিয়া যাওয়ার জন্য বায়না ধরলেন। প্রগাঢ়
মমতার কারণে আবু তালিব আর নিষেধ করতে পারলেন না। যাত্রাপথে বসরা পৌঁছার
পর কাফেলাসহ আবু তালিব তাবু ফেললেন। সে সময় আরব উপদ্বীপের রোম অধিকৃত রাজ্যের
রাজধানী বসরা অনেক দিক দিয়ে সেরা ছিল। কথিত আছে, শহরটিতে জারজিস নামক
এক খ্রিষ্টান পাদ্রি ছিলেন যিনি বুহাইরা বা বহিরা নামেই
অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি তার গির্জা হতে বাইরে এসে কাফেলার মুসাফিরদের মেহমানদারী
করেন। এ সময় তিনি বালক মুহাম্মাদকে দেখে শেষ নবী হিসেবে চিহ্নিত করেন।
হারবুল ফুজ্জারে "অংশগ্রহন"
তারুণ্যে এই যুবক ‘হারবুল ফুজ্জার’ নামক বিরাট যুদ্ধে
অংশগ্রহন করতে হয়েছিল। কোরায়েশ গোত্রের এই যুদ্ধে অংশ গ্রহন ন্যায় সংগত ছিল বলে সে
এই যুদ্ধে যোগদান করলে ও মানুষকে নিজে কোন আঘাত করেনি। ফিজারের যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন নবীর বয়স ১৫ বছর।
আল আমীন উপাধি লাভঃ
শিশু মোহাম্মদ (সঃ) বাল্যকাল থেকেই ছিলেন পুত চরিত্রের
অধিকারী। সত্যবাদীতায় তার জুড়ি ছিলো না। এমন নির্মল ও বলিষ্ঠ স্বভাব চরিত্র খুদ্র
একটি বালকের হতে পারে,
তা যেন সে যুগের লোকের ধারণার বাইরে ছিলো।
তার সততা,বদান্যতা আর সত্যবাদীতা দেখে সবারই ধারণা জন্মেছিলো বালক কালে একজন মহামানব হবেন।খৃষ্টান পন্ডিতগণ তাদের ধর্ম গ্রণ্হে বর্ণিত শেষ নবীর লখন সমুক লখ্য করে নিশ্চিত রুপে ধারনা করে নিয়েছিলেন এ বালকই একদিন শেষ জামানার পয়গম্বর হবেন।
যে বয়সে মানুষের কথায় থাকেনা বিস্বাস, কাজে থাকে না নির্ভরতা, বুদ্ধি, বিবেক থাকে অসম্পূর্ণ, স্বভাব, প্রকৃতি ও চাল চলনে বলবে চপলতা, সে বয়সে কিশোর বালক মোহাম্মদ (সঃ) কে কার সাধ্য বলবে তাকে কিশোর বালক? ভাব -গম্ভীর ছিলো তার গতি প্রকৃতি, আশ্চর্য ধরনের ছিলো চাল চলন আর কথাবার্তা বলার ধরণ। কাজ করার নিয়ম শৃংখলা ছিলো অতি অসাধারণ। ধ্যান গম্ভীর এবং সুতীখ্ন বুদ্ধিদীপ্ত পরিপূর্ণ সাধকের মতো ছিলো তার আকৃতি প্রকৃতি, বুদ্ধি ঞান আর আদব কায়দা।তার মুখের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে মানুষ শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যেতো। সততা,বিশ্বাস, সত্যবাদীতা,ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি গুণাবলীতে বালক মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন অতুলনীয়।যে ক্ষেত্রে সে যুগের প্রতিটি লোক ছিলো ভন্ড আর কপট। সততা, বিশ্বস্তা, আমানতদারী নামে কোন জিনিস ছিলো বিরল সে ক্ষেত্রে বালক মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন এক ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন সবার নিকট বিশ্বাসী,সৎ, মহৎ আমানতদার। সরলতা আর সত্যবাদীতা ছিলো তার চরিত্রের অলংকার।এসব গুণে মুগ্ধ হয়েই দেশবাসী তাকে দেশের শ্রেষ্ঠ উপাধি "আল আমিন" নামে ভুষিত করে মহা সন্মান দান করেছিলো।
তার সততা,বদান্যতা আর সত্যবাদীতা দেখে সবারই ধারণা জন্মেছিলো বালক কালে একজন মহামানব হবেন।খৃষ্টান পন্ডিতগণ তাদের ধর্ম গ্রণ্হে বর্ণিত শেষ নবীর লখন সমুক লখ্য করে নিশ্চিত রুপে ধারনা করে নিয়েছিলেন এ বালকই একদিন শেষ জামানার পয়গম্বর হবেন।
যে বয়সে মানুষের কথায় থাকেনা বিস্বাস, কাজে থাকে না নির্ভরতা, বুদ্ধি, বিবেক থাকে অসম্পূর্ণ, স্বভাব, প্রকৃতি ও চাল চলনে বলবে চপলতা, সে বয়সে কিশোর বালক মোহাম্মদ (সঃ) কে কার সাধ্য বলবে তাকে কিশোর বালক? ভাব -গম্ভীর ছিলো তার গতি প্রকৃতি, আশ্চর্য ধরনের ছিলো চাল চলন আর কথাবার্তা বলার ধরণ। কাজ করার নিয়ম শৃংখলা ছিলো অতি অসাধারণ। ধ্যান গম্ভীর এবং সুতীখ্ন বুদ্ধিদীপ্ত পরিপূর্ণ সাধকের মতো ছিলো তার আকৃতি প্রকৃতি, বুদ্ধি ঞান আর আদব কায়দা।তার মুখের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে মানুষ শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যেতো। সততা,বিশ্বাস, সত্যবাদীতা,ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি গুণাবলীতে বালক মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন অতুলনীয়।যে ক্ষেত্রে সে যুগের প্রতিটি লোক ছিলো ভন্ড আর কপট। সততা, বিশ্বস্তা, আমানতদারী নামে কোন জিনিস ছিলো বিরল সে ক্ষেত্রে বালক মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন এক ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন সবার নিকট বিশ্বাসী,সৎ, মহৎ আমানতদার। সরলতা আর সত্যবাদীতা ছিলো তার চরিত্রের অলংকার।এসব গুণে মুগ্ধ হয়েই দেশবাসী তাকে দেশের শ্রেষ্ঠ উপাধি "আল আমিন" নামে ভুষিত করে মহা সন্মান দান করেছিলো।
হিলফুল ফুজুল গঠনঃ
'হিলফুল ফুজুল' যার
অর্থ হচ্ছে 'শান্তি সংগঠন'। 'ফেজার লড়াই' যখন শেষ
হলো, তখন মক্কার সব গোত্রের লোকেরা একত্র হয়ে একটি আলোচনা
সভায় বসলো, যাতে ভবিষ্যতে আর এমনটি না হয়। আমাদের কিশোর
নবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাসূল (সাঃ)-এর চাচা 'জোবায়ের
বিন আবদুল মুত্তালিব' বনী হাশেম ও বনী তামিম গোত্রের সকল
তরুণ ও যুবককে ঐ সভায় একত্রিত করেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো, হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর চাচাতো ভাই 'আবদুল্লাহ্ বিন
জুদয়ানের' বাড়িতে। রাসূল (সাঃ)-এর পরামর্শ মাফিক সবাই একমত
হয়ে, মিলে-মিশে থাকা তথা শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটা 'একরার নামা' বা 'অঙ্গীকার পত্র'
প্রস্তাব করেন। এই 'অঙ্গীকার পত্রে' ফজল বিন ওয়াদা, ফজল বিন ফুজালা এবং ফজল ফুজাইল বিন
হারেছ নামক মক্কার ৩ গোত্রপতি স্বাক্ষর করেন। তাঁদের এই কল্যাণ চুক্তির অনুকরণে
রাসূল (সাঃ) পরবর্তীতে তাঁদেরই নামানুসারে নতুন এক সামাজিক যুব সংগঠন গড়ে তোলেন,
যার নামকরণ করা হয়েছিলো 'হিলফুল ফুজুল'। রাসূল (সাঃ)- এর বয়স তখন ২০ বছরের কম
নয়। দুনিয়ার প্রথম 'শান্তি সংগঠন'-তিনিই ছিলেন এই দলের পরিচালক। এতে ৪
জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের নাম হচ্ছে-ফজল, ফাজেল, মুফাজ্জল ও ফাজায়েল। কেউ কেউ মনে করেন, এই ৪ জনের
নামানুসারেই এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয় 'হিলফুল ফুজুল'। সে যাই হোক, রাসূল (সাঃ) উক্ত
সংগঠনের একজন উত্সাহী কর্মীরূপেও কাজ করেছিলেন। ফলস্বরূপ, দেশ-বিদেশে
ছড়িয়ে পড়েছিলো তাঁর নাম এবং তাঁর শান্তি সংগঠন 'হিলফুল
ফুজুলের' নাম। তাঁর সততা, সত্যবাদিতা,
দয়া-দাক্ষিণ্য, ক্ষমা, সহিষ্ণুতা,
সাহসিকতা আর আমানত দারীর নাম। মোট কথা, রাসূল
(সাঃ) ২০ বছর বয়সে নৈরাজ্যকর আরবের সমাজ ব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
সামাজিক যুব সংগঠন 'হিলফুল ফুজুল' গঠন
করেন।
তবকাতে ইবনে সা'আদের এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেন, "হিলফুল ফুজুলের ন্যায় কল্যাণমূলক সংগঠনের জন্য কেউ যদি আজো ডাক দেয়, তবে আমি হৃষ্টচিত্তে তাতে যোগ দেবো।
তবকাতে ইবনে সা'আদের এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেন, "হিলফুল ফুজুলের ন্যায় কল্যাণমূলক সংগঠনের জন্য কেউ যদি আজো ডাক দেয়, তবে আমি হৃষ্টচিত্তে তাতে যোগ দেবো।
আগের পর্বঃ
https://rasulsmerjiboni.blogspot.com/2020/01/blog-post_13.html
রাসুল (সাঃ) এর পুর্নাংগ জীবনী জানতে আমাদের এই অ্যাপ্টি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.duappsmedia.mohanobi

Comments
Post a Comment